ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশে বক্সের সামনে কনস্টেবল কাউসার আলীর (৪১) সঙ্গে থাকা এসএমটি সাবমেশিনগানের প্রথম গুলিতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কনস্টেবল মনিরুল হক (২৭)। এরপরও ক্ষোভ মেটাতে পুলিশ বক্সের ভেতর থেকে বের হয়ে মনিরুলকে লক্ষ্য করে আরও কয়েক রাউন্ড গুলি চালান কাউসার। গুলির শব্দ শুনে দূতাবাস থেকে সহকর্মীরা বেরিয়ে এসে মনিরুল মাটিতে পড়ে আছে দেখতে পান। মনিরুল কেন এভাবে পড়ে আছেন জিজ্ঞেস করলে ঘাতক কাউসার তাদের বলেন, ‘শালা (মনিরুল) নাটক করতাছে, এমনি মাটিতে পড়ে রয়েছে। ’ এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যান।
এদিকে ঘটনাস্থলের ঠিক বিপরীত পাশের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শনিবার (৯ জুন) রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট। রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ বক্সের বাইরে ছিলেন কনস্টেবল মনিরুল হক। আর ভেতরে ছিলেন কনস্টেবল কাউসার আলী। মনিরুলের হাতে কাগজ সাদৃশ্য কিছু দেখা যায়। মনিরুলকে হেঁটে গিয়ে পুলিশ বক্সের দিকে মুখ করে কাউসারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। তখন তিনি স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে (১১ টা ৪৫ মিনিটের পর) পুলিশ বক্সের ভেতর থেকে গুলি ছোড়া হয়। আর প্রথম গুলিতেই মনিরুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর পুলিশ বক্সের ভেতর থেকে কাউসার আলী হাতে অস্ত্রসহ বাইরে এসে মাটিতে পড়ে থাকা মনিরুলকে লক্ষ্য করে আরও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এরপর কাউসার নিচে ঝুঁকে মনিরুলের কাছ থেকে কিছু একটি কুড়িয়ে হাতে নেন এবং রাস্তা থেকে ফুটপাতে উঠে পুলিশ বক্সের সামনে গিয়ে দাঁড়ান।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ