আর মুক্তিপণের টাকা রুবেলের কাছে পৌঁছে দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান। বাদীর স্ত্রী তখন ২ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হন। অপহরণকারী ডিবি পুলিশ নয় বুঝতে পেরে বাদী শফিকুল অপহরণকারীদের বুঝিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলার এক পর্যায়ে হাবিবুর রহমান রুবেলকে আটক করতে বলেন। তখন অপহরণকারীরা হাতের হ্যান্ডকাফ খুলে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন। চোখ খুলে তিনি দেখতে পান রাত পৌনে ১১টা বাজে। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে থানায় গিয়ে ঘটনা পুলিশকে জানালে ওই রাতেই আহসান হাবিবকে আটক করা হয়। পরে আহসান হাবিব রুবেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মো. শাহীন চৌধুরী নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি শাহীন চৌধুরীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে এস আই ওমর ফারুকের সংশ্লিষ্টতা। জবানবন্দিতে এই পুলিশ কর্মকর্তাকেই এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এ অবস্থায় ওমর ফারুক হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন।