সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে নাসিক ৮নং ওয়ার্ড গোদনাইল এনায়েতনগরের মো. আল-আমিন (৩৬) নামের এক যুবককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে প্রধান করে ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছে। শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন। এরআগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী নিজেই। মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছে, শামীম ওসমানপুত্র একেএম অয়ন ওসমান (৩৭), ভাতিজা আজমেরি ওসমান (৪৫), নারায়ণগঞ্জ মহানগর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম (৫৬), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি (৫৫), নাসিক ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নূর উদ্দিন মিয়া (৫৫), ৩ নং ওয়ার্ডের শাহজালাল বাদল (৪২), আদমজী আঞ্চলীক শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব সাদ্দাম ও তার ভাই সোহেলসহ আ:লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। মামলার এজাহারে তুলে ধরা হয়েছে, গত ৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডস্থ মিতালি মার্কেটের সামনে ছাত্র- জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভুক্তভোগীসহ জুলুম বিরোধীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এই মামলার আসামিরা। ওইসময় জনতাকে উদ্দেশ্য করে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার একপর্যায়ে আল-আমিনের ডান হাতে লোহার রডের বারি লেগে হাড় ভেঙ্গে গুরুতর আহত হয়ে যান। পরবর্তীতে আহতাবস্থায় ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যান।
আসামিদের তালিকা :
১। এ.কে.এম শামিম ওসমান (৬৪), ২। মতিউর রহমান মতি (৫৫) ৩। আজমেরি ওসমান (৪৫) ৪। শাহ নিজাম (৫৬) ৫। অয়ন ওসমান (৩৭) ৬। কামরুল (৩৪) ৭। যাছেন (৩৪) ৮। আসলাম (৩১) ৯। বাদল (৪৮) ১০। আবদুল করিম (৪৫)১১। মোঃ আমিনুল ইসলাম (৪৫) ১২। আমির হোসেন (৪৮) ১৩। সারফিন মাসুম (৩৮) ১৪। মোঃ ইমরান (৩৫) ১৫। মোঃ মানিক (৩৫) ১৬। মোঃ আপেল (৩৮) ১৭। মোঃ মানিক (৩৪) ১৮। আঃ হাকিম (৪৫) ১৯। জাহাজীর পাটুয়ায়ী (৫৫) ২০। মোঃ আলামিন (৩৮) ২১। মোঃ ইমরান মিয়া (৪৮) ২২। মোঃ আবুল ফালাম (৪০) ২৩। মোঃ জাহাজীর ১৯(৩৮) কালামের অগ্নিপতি ২৪। মোঃ মহিউদ্দিন (৪৮) ২৫। ছিফাত (৩০) ২৬। ঈমাম হোসেন (৫৫) ২৭। মীর হোসেন (৪৮) ২৮। আবুল হাসেম ওরফে গরু ২৫ হাসেম (৫২) ২৯। সুজন (৪২) ৩০। আবুল কাসেম (৫৫) ৩১। মাওলানা ওবায়দুল হক ৩২। নূর আলম ৩৩। হানিফ মিয়া (৪৫) ৩৪। আনোয়ার হোসেন (৪০) ৩৫। শুকুর আলী (৪২) ৩৬। সাইফুল ওরফে চানাচুর সাইফুল (৪৫) ৩৭। ঈমান আলী (৪৮) ৩৮। সিরাজ ওরফে কানা সিরাজ (৪৮) ৩৯। জাহাঙ্গীর (৪৫) ৪০। মিন্টু ওরফে পাঠা মিন্টু (৪৫) ৪১। আমির হোসেন (৪৮) ৪২। ৪৪। মোঃ নুর আলম (৪৮) ৪৫। ছানাউল্লাহ ছানি (৪৫) ৪৬। ফিরোজ মিয়া (৪৮) ৪৭। আবদুল মতিন ওরফে পাগলা মতিন (৪৮) ৪৮। মাইন উদ্দিন (৩২) ৪৯। মোঃ ফরিদ মিয়া (৫৫) ৫০। মোঃ আল আমিন (২৫) পিতা-দেলোয়ার হোসেন ৫১। আরিফ (৫০) ৫২। শাহাবুদ্দিন (৪৪) ৫৩। শাওন (২৩) ৫৪। মোঃ জসিম হোসেন (৩০) ৫৫। জাকির হোসেন (৩৪) ৫৬। সাদ্দাম ৫৭। আলাউদ্দিন ৫৮। মোঃ ইসমাইল (২৯) ৫৯। আক্তার হোসেন (৪২) ৬০। কাজী আসিফ (৩২) ৬১। আলাউদ্দিন (৩৪) ৬২। লিটন (৪৩) ৬৩। আল আমিন (৩০) ৬৪। পানি আক্তার (৩৮), ৬৫। রুহুল আমিন (৪৬) ৬৬। মোহাম্মদ আলী (৩৮) ৬৭। ভাগিনা মামুন ৬৮। হাজী ইয়াছিন (৬২) ৬৯। নুরউদ্দিন মিয়া (৫৫) ৭০। দুরুজ্জামান জজ মিয়া (৫৮) ৭১। নুরসালাম (৬৫) ৭২। নূরুল হক (৫৩)৭৩। শাহজালাল বাদন (৪২) ৭৪। শরিফ (৩২) ৭৫। হাবিবুল্লাহ হবুল (৫০) ৭৬। মাহবুবুর রহমান (৪৯) ৭৭। আশরাফ (৪৮) ৭৮। বরিশাইল্যা মজিবর (৫৮)৭৯। সালাউদ্দিন সানি (৪২) ৮০। আমির হোসাইন ভান্ডারী (৬০) ৮১। ফেরদৌস আলম (৫২) এইচ আর ৮২। দেলোয়ার হোসেন দেলু (৫০) ৮৩। মিজানুর রহমান মিলন (৩৯) ৮৪। মানিক মাষ্টার (৪৮) ৮৫। মোঃ ইউসুফ আলী মাসুদ (৪১) ৮৬। আল আমিন (৩৮) ৮৭। শামীম জমিদার (৫৫) ৮৮। মোঃ মহসিন ৮৯। ফিরোজ (৫০) ৯০। বিল্লাল হোসেন (৩০) ৯১। সোহেল (৪০) ৯২। সালাম মোল্লা (৪৮) ৯৩। ইয়াছিন আরাফাত রাসেল (৩৫), ৯৪। মাসুম (৪২)৯৫। জামান মিয়া (৩৯)। এ দিকে মামলার বিষয়ে জানতে বাদী আল-আমীনকে ফোন দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ