নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা কোন দলের না। অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছে যাদের সাথে আমার ব্যাক্তিগত সম্পর্ক আছে। মুক্তি যুদ্ধচলাকালিন আমার যুদ্ধ করার মতো বয়স ছিলো না। কিন্ত মুক্তিযুদ্ধের রক্ত চিহ্নগুলি আমার দেখার সুযোগ হয়েছে। তারা দেশের জন্য কি করেছে তা দেখার সুযোগ হয়েছে। আমি পাক হানাদারদের তান্ডব দেখেছি, দেখেছি বাঙ্গালী হয়েও রাজাকারদের তান্ডব। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলো। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করতে পারে নাই। কারণ দেশ গরীব, বিদেশের সাহায্য চলতে হয়েছিলো। অনেক উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যতটুকু সম্ভব ততটুকু করেছেন। তবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছিলেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতা চালু করেছেন, তাদের সম্মান করার জন্য তাদের আলাদা করে কবরস্থান করেছেন, দাফন-কাফন ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ব্যবস্থা করেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিট’র আয়োজনে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী আন্দোলনের ইন্ধন ও উস্কানীদাতান এবং রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী স্বাধীনতা বিরোধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে এক সমাবেশ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খোকন সাহা বলেন, বাংলাদেশে কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিচারক বলেছিলেন, ভাংচুর করবেন না সংঘর্ষ করবেন না। দেশের বিচার ব্যবস্থা নেত্রী হাতে নাই। আজকে এই আন্দোলনকারীদের মধ্যে কিছু জামাত-বিএনপি প্রবেশ করেছে। তারা দেশের মধ্যে নৈরাজ্য তৈরী করার চেষ্টা করছে। পরশুদিন জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিলেন। একদল লোক দেশকে নস্যাৎ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলো। কিন্তু আমরা তো বসে থাকতে পারি না। বিষয়টা সর্বোচ্চ আদালতের একজন বিচারপতি বলেছেন এই বিষয়ে যে, কোন আন্দোলন করে লাভ নাই, আদালতের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু কিছু আন্দোলনকারী কোমল শিশুদের দিয়ে বলায় যে, তুমি কে আমি কে রাজাকার-রাজাকার। আজও সেই বিশৃঙ্খলা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা বিচার ব্যবস্থা প্রতি আস্থা রাখেন, অপেক্ষা করেন। কিন্তু অপেক্ষা না করে রাষ্ট্রর প্রতি বিশৃঙ্খলা করবে, তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার বলে স্লোগান দিবে। এটা শুনে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ বসে থাকতে পারে না। আমি আমার দলের পক্ষ থেকে বলছি, আপনারা অরাজকতা করবেন না আন্দোলনের নামে। এটা উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই হবে। আপনার আমার সন্তানকে ভুল দিকে পরিচালিত করছে, যারা করছে ও দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ