সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল বৌ-বাজার এলাকায় বড় ভাই শামীম হাসানের বিরুদ্ধে মাকে মারধর ও গলাটিপে হত্যার অভিযোগ তুলেছে আপন ছোট ভাই রাজু। ছোট ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবশেষে মায়ের ময়না তদন্ত করতে বাধ্য হয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। যদিও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বাথরুমে আত্নহত্যার ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে বৃদ্ধার স্বামী আব্দুর রব প্রধান। বাথরুমের জানালার রডের সাথে রশি বেধে গলায় পেচিয়ে বৃদ্ধা আত্নহত্যা করেছে বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন। এছাড়াও বৃদ্ধা ডায়বেটিস এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারে ভুগছিলেন বলে উল্লেখ করেন। তবে ময়না তদন্তের ডাক্তার বলছেন ৭১ বছরের কোন বৃদ্ধা আত্নহত্যা করতে পারে না। বৃদ্ধা শরীরে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যার ফলে এ মৃত্যু নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটা আত্নহত্যা নয়, হত্যাকান্ড বলে অনেকে ধারনা করছেন। ময়নাতদন্তের পরই তার সত্যতা জানা যাবে বলে অভিযোগকারী রাজু জানান। এদিকে ছোট ভাই রাজু মায়ের হত্যাকারী বড় ভাই শামীমের বিচার দাবী করে সাংবাদিকদের সামনে মিছিল দিয়েছেন। ঘটনাটি গত ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে ৭তলা বিল্ডিং এর ৩য় তলায় বাথরুমের ভিতর ঘটেছে।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর দুপুরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে বৃদ্ধার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃদ্ধার নাম রহিমা খাতুন। তার বয়স ৭১ বছর। বৃদ্ধাকে বর্তমানে ঢাকা বার্ডেন হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ছোট ছেলে বিদেশ থেকে আসলেই বৃদ্ধা লাশ দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানান তার আত্নীয়-স্বজনরা। এদিকে মায়ের মৃত্যুর বিষয়ে ছোট ছেলে আবু কাউছার রাজু সাংবাদিকদের জানান, তার মাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার দাবি, তার বড় ভাই শামীম মাকে মেরে ফেলেছে। তিনি মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। বাথরুমে আমার মা আত্নহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করে পুলিশকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আত্নহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই সোহাগ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।##
© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ