বন্দরে কাজলী বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে কে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৫ জুলাই) ভোরে বন্দর উপজেলার পদুঘরে উলাক গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত কাজলী বেগম বন্দর ইউনিয়নের পদুঘর উলাক এলাকার মৃত কামাল হোসেনের মেয়ে।
এঘটনায় নিহতের স্বামী মাসুম মিয়াকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। সে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, কাজলী বেগম কিস্তির টাকা উঠিয়েছিল। ওই টাকা স্বামী মাসুম নেশার জন্য চাইলে কাজলীর উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। কাজলী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে সোমবার ভোরে কাপড় কাটার কেঁচি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে মাসুম। এসময় কাজলীর ২ মেয়ে মুনা ও মারজান ডাক চিৎকার করলে এলাকার মানুষ ঘরে এসে মাসুমকে আটক করে। পরবর্তীতে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তিন বছর আগেও নেশার টাকার জন্য তার স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেছিল মাসুম। এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছিল।
এব্যাপারে বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ) গোলাম মোস্তফা জানান, সোমবার ভোরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে মাসুম মিয়া। পরে তাকে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক করি। তবে এরই মধ্যে সে আত্মহত্যা করার চেষ্টা চালায়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর ছিদ্দিক জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনার পর নিহত কাজলী বেগমের মা আয়শা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) আছে। আসামি মাসুম মিয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করায় আহত হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ