নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মায়ের নির্দেশে সন্ত্রাসী পুত্র ও তার বাহিনীর সদস্যরা দুই শ্রমিককে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ৭দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। উল্টো থানায় গেলে পায়ের রগ কেটে দেয়ার হুমকি দিয়েছে ওই সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ২৭ মার্চ ফতুল্লা মডেল থানায় হোসিয়ারী শ্রমিক তোফাজ্জল মামলা দায়েরের জন্য আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০ মার্চ রাত ৮টায় কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে ফতুল্লার সস্তাপুর গাবতলা এলাকায় অহেতুক পথরোধ করে মুন্নাফ ও তোফাজ্জলকে মারধর করে একই এলাকার আখির ছেলে নয়ন ও তার বন্ধুরা। এ বিষয়ে আখির কাছে নালিশ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলে নয়ন ও তার বন্ধুদের নির্দেশ দেয় আবারো মারধর করার। এতে নয়ন ও তার বন্ধুরা মিলে তোফাজ্জল ও মুন্নাফকে এলোপাথারী মারধর করে হত্যার উদ্দেশ্যে দুজনের মাথায় চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। তখন দুজন অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটে পড়লে আখি তার ছেলেসহ লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়।
তোফাজ্জল জানান, এঘটনায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করি। শুনেছি থানায় মামলা করতে টাকা লাগে। এজন্য আমার মামলা গ্রহন করেনি। এখন কাজে আসা যাওয়ার পথে প্রায় সময় নয়ন দলবল নিয়ে রাস্তায় পথরোধ করে হুমকি দিয়ে বলেন যদি আবার থানায় যাস তাহলে পায়ের রগ কেটে দিবো। ফতুল্লা মডেল থানার এসআই বাপ্পি জানান, ২৭ মার্চ দুপুরে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে গিয়েছিলাম। তখন আখি ও তার স্বামী নজরুল আমাদের সাথে খারাপ আচরন করেছে। শতশত মানুষের সামনে আমাদের অপমান করে কথা বলেছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন অফিসারকে জানিয়েছি। তারা কি কারনে মামলা নেয়নি সেটি আমার জানা নেই। আখি জানান, যারা অভিযোগ করেছে তারা বখাটে। তাদের অভিযোগ মিথ্যা আমাকে হয়রানী করার জন্য পুলিশ নিয়ে আমার বাসায় আসছে। যে কেউ অভিযোগ করলেই পুলিশ চলে আসবে। এটা ঠিকনা। এবিষয়ে ওসি নূরে আজম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ