চার বছর আগে এক শিশুকে মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমে দেয়া হয়। সম্প্রতি সেই শিশুকে পাওয়া যাচ্ছে না এমন অভিযোগে আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করা হয়। সেই মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
এরপর যে শিশুকে ডিবি পুলিশ খুঁজে পায়নি, পালিত বাবা-মায়ের সঙ্গে আদালতে হাজির হয় ৬ বছরের শিশু ফুয়াদ। তাকে আদালতের সামনে উপস্থাপন করেন মিল্টন সমাদ্দারের আইনজীবী। বাবার কোলে চড়ে ৬ বছরের শিশুকে কাঠগড়ায় দাঁড়ান বাবুর্চি জসিম। বাবার গলা দু’হাত দিয়ে ধরে কোলেই ছিলো শিশু। বাবার ঠোঁটে চুম্বনও করেন। বাবার সঙ্গে কিছুটা ভালোবাসার খুনসুঁটিতে মেতে ওঠে। এসময় তার পালিত মা সুমি বেগমও কাঠগড়ায় ছিলেন। মায়ের কোলেও যায় ফুয়াদ।
মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আব্দুস ছালাম শিকদার জামিন চেয়ে বলেন, বাবুর্চি জসিম এবং তার স্ত্রী সুমি বেগম নি:সন্তান। ১১ বছরেও তাদের বাচ্চা হয়নি। তারা বাচ্চাটিকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। বাচ্চাকে নেয়া অঙ্গীকারনামায় আদালতের সীলও রয়েছে। (যা তারা আদালতে জমা দেন)। শিশুটিকে তারা মাতৃস্নেহে বড় করছে। কি অন্যায় করলো তারা। মামলা করলো মানবপাচার আইনের ১০ (২) ধারায়।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ