ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি, এমন ধরনের বিদেশি গণমাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করতে একটি বিল তোলা হয়।
ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি, এমন ধরনের বিদেশি গণমাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করতে একটি বিল তোলা হয়।
আল জাজিরা ইসরায়েলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তার ক্ষতি করছে, এমন অভিযোগ ‘বিপজ্জনক এবং হাস্যকর মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছে চ্যানেলটি। এই ধরনের অভিযোগ সাংবাদিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে বলেও জানায় তারা। সোমবার এক বিবৃতিতে কাতার সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত আলজাজিরা ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ ‘বাড়াবাড়ি’ বলে অভিহিত করেছে।
আলজাজিরা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছে। চব্বিশ ঘণ্টা গাজাজুড়ে পুরো যুদ্ধের চিত্র বিশ্ববাসীর জন্য তুলে আনছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে চ্যানেলটির বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। যাদের মধ্যে সামের আবু দাক্কা এবং হামজা আল দাহদুহ, উভয়েই যুদ্ধের সময় গাজায় নিহত হয়েছিলেন।
ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শত্রুদের উৎসাহিত করার জন্য আল জাজিরাকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আলজাজিরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শত্রুতাকে উৎসাহিত করছে। আমাদের সরকারি প্রেস অফিস থেকে পরিচয়পত্র নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করবে, এমন একটি গণমাধ্যমেক কোনোভাবে সহ্য করা যায় না। বিশেষ করে যুদ্ধের সময় তো আরো না।’
ইসরায়েলি সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বজায় রাখতে বিদেশি গণমাধ্যম খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে দেশটি জানিয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “যদি এটা সত্য হয়, তাহলে এই ধরনের পদক্ষেপ উদ্বেগজনক।”
© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ