২০২৩ সালের জন্য বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। এবার সর্বনিম্ন প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছর বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর ‘সাধারণ প্যাকেজ’ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিলো ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। সে তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৪ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
হাব সভাপতি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য একটি প্যাকেজ করা হয়েছে। কোরবানি ছাড়া সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এছাড়া প্রত্যেক এজেন্সি হজযাত্রীদের চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন প্যাকেজ করতে পারবেন।
কোরবানির খরচ প্রত্যেক হজযাত্রীকে আলাদাভাবে সঙ্গে নিতে হবে জানিয়ে শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, এ বছর ৬৫ বা এর বেশি বয়সীরা হজে যেতে পারবেন। ঘোষিত প্যাকেজের হজযাত্রীদের পবিত্র হারাম শরিফের বাইরের চত্বরের সীমানার সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০ মিটার দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের সুযোগ পাবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন যেতে পারবেন হজে।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হবে জানিয়ে হাব সভাপতি বলেন, হজযাত্রীদের হজ প্যাকেজের পুরো অর্থ শুধু সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির ব্যাংক একাউন্ট বা সরাসরি এজেন্সিতে জমা দিয়ে মানি রিসিট সংরক্ষণ করবেন। কোনোক্রমেই মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কাছে কোনো প্রকার লেনদেন করবেন না। হজযাত্রীরা হজ প্যাকেজের পুরো অর্থ আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে অবশ্যই নিজ নিজ এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে জমা করে বা এজেন্সির অফিসে জমা দিয়ে মানি রিসিট গ্রহণ করবেন।
হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করার সময় হজযাত্রীকে প্রাক-নিবন্ধনে ব্যবহৃত জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা জন্মনিবন্ধনের নম্বর হুবহু লিপিবদ্ধ করতে হবে। সৌদি ভিসা লজমেন্টে জটিলতা দূর করার জন্য পূর্ণাঙ্গ নামে পাসপোর্ট করতে হবে। পাসপোর্টের তথ্যপাতা স্ট্যাপলার পিন দিয়ে গাঁথা যাবে না বা অন্য কোনোভাবে ছিদ্র করা যাবে না।
প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিষেধক টিকার সনদ লাগবে বলেও জানান শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
এর আগে গতকাল বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সরকারিভাবে একটি হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
সরকারিভাবে গত বছর দুটি থাকলেও এবার ঘোষিত একটি প্যাকেজ অনুযায়ী, হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা ব্যয় হবে।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ