স্বেচ্ছাসেবী ও উদ্যোক্তাদের সম্মাননাসহ যুব প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণ করে আর্তমানবতার সেবায় সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে আসার প্রত্যয়ে মানবিক উৎসব করেছে মানব কল্যাণ পরিষদ। ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিনব্যাপী নারায়ণগঞ্জ শহরের চৌরঙ্গী পার্কের ভাসমান জাহাজে এই মানবিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মানবিক উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল। তিনি মানবের কল্যাণে সরকারের উন্নয়নমূখী কর্মকান্ড ও গণসচেতনতায় সকলকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে উদ্যমী ও অগ্রগামী নারী-পুরুষকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশ ও জাতি গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, মাদক নির্মূলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে কোন ছাড় নেই। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার আঞ্জুমান আরা বলেন, সরকার নারী জাগরণে এবং উন্নয়নে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে। নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক ভাবে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে সরকার। বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মঈন আহসান বলেন, মানবিক কাজগুলো সমাজকর্মীরাই এগিয়ে নিয়ে যায় এবং উদ্যোক্তারা অনেক সংগ্রাম করে সফলতা অর্জন করে। তাই সকলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবিক গুণাবলী নিয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে হবে।
নারী উদ্যোক্তা মাইহার মিম এর সৃজনশীল ও সাবলিল উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মানব কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব মোঃ নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবীরা সব সময় বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ সবসময় করে থাকে। সরকারের আরো আন্তরিক সহযোগিতা পেলে স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোক্তারা দেশের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে। মানবিক উৎসবে সফলতায় ভরপুর এমন কয়েকজন গুণী মানুষকে সম্মাননা এওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, সফল আত্মকর্মী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ টাউন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সালমা সুলতানা, নারী উদ্যোক্তা ও স্বেচ্ছাসেবক বুবলী আক্তার এবং সফল সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী জিএম রহমান রনিকে সম্মাননা এওয়ার্ড প্রদান করেন মানব কল্যাণ পরিষদ। এছাড়াও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বিউটিফিকেশন কোর্স ও ফুড প্রসেসিং প্রশিক্ষণের সনদপত্র ৬০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রশিক্ষণে বেষ্ট বয় হিসেবে ইকরামুল ইসলাম ও বেষ্ট গার্ল হিসেবে মিম জেরিনকে শুভেচ্ছা পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে যাদু প্রদর্শণী করেন যাদু শিল্পী কবির প্রধান। পরিশেষে আনন্দ বিনোদনে স্বেচ্ছাসেবী ও উদ্যোক্তাদের মিলনমেলায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং র্যাফেল ড্র করে পুরস্কার তুলে দেয়া হয় বিজয়ীদের।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ