অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের এক দম্পতি ঋণের দায়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থেকে শ্রমিকের কাজ করেন। এতে করে তাদের বারো বছর বয়সী মেয়েকে মাধাই নগর ইউনিয়নে তার নানাবাড়িতে রেখে যান। গত ৬ নভেম্বর মেয়েটি তার বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য একাই ঢাকা রওনা হয়। দুপুরে সে গ্রাম থেকে তাড়াশে আসে। এ সময় তাকে অনুসরণ করতে থাকে একই গ্রামের অভিযুক্ত নারী। এরপর সে সিএনজিযোগে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোল চত্বরে পৌঁছায়। সেদিন হরতাল থাকায় সে ঢাকা যাওয়ার জন্য ভাড়ায়চালিত একটি মোটরসাইকেল ঠিক করে। এ সময় অভিযুক্ত নারী তাকে তার নাতনি পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে নেন। কিছুদূর গিয়ে তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। সেখানে জ্ঞান ফিরলে সে দেখতে পায় তাদের পাশের আড়ঙ্গাইল গ্রামের আমিরুদ্দিনের ছেলে জান মাহমুদকে। এরপর জান মাহমুদ মেয়েটিকে রাতভর যৌন নিপীড়ন চালানো হয় বলে অভিযোগ করে। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোনোয়ার হোসেন জানান, মেয়েটি তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে ৭ নভেম্বর তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে ভর্তি হয়। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তাকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সে সেখানেই চিকিৎসাধীন। নির্যাতিত মেয়েটির নানা বলেন, আমি বৃদ্ধ মানুষ। আগে নাতনিকে বাাঁচাই। জামাই-মেয়ে ঋণের দায়ে এলাকায় আসতে পারছে না। এখন কি করব বুঝে উঠতে পারছি না। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। এ প্রসঙ্গে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, ধর্ষণের সহায়তাকারী নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা দিতে আসেনি।