ইয়া আল্লাহু, ইয়া রাহমানু, ইয়া রহিমু, ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন। ১২ই রবিউল আউয়াল আখেরি নবী হযরত আহমদ মোস্তফা, মোহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) এর এই ধরাধামে আগমন, তিরোধান দিবস ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে কুতুববাগ পাক দরবার শরীফে দু’দিনব্যাপী এক দ্বীনি জলসার আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর কুতুববাগ দরবার শরীফে পবিত্র ফাতেহা শরীফ ও নবীজীর শানে দরুদ পাঠের মধ্য দিয়ে দু’দিনের এই দ্বীনি জলসার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুতুববাগ দরবারের পীর ও মুর্শেদ হযরত সৈয়দ জাকির শাহ্ নকশবন্দি মোজাদ্দেদী কুতুববাগী কেবলাজান। এসময় দেশের প্রখ্যাত ওলামায়ে কেরাম গণ শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত, মারফত বিষয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা পেশ করেন। বক্তাগণ ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষ্যে রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহাজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলামী জীবন আদর্শ প্রতিষ্ঠায় সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অবদান তুলে ধরেন। মাহফিলে রাসুলে করীম (সঃ)এর শানে দরুদ ও কিয়াম পেশ করা হয়। রাতভর ওয়াজ মাহফিল শেষে পীরসাহেব কেবলা কুতুববাগী হাজার হাজার জাকের মুরিদ নিয়ে তাহাজ্জুদ আদায় করেন এবং রহমত পালন শেষে বিশাল জামায়াতে ফজর নামাজ আদায় করেন।
বাদ ফজর ফাতেহা শরীফ ও ক্ষতম শরীফ আদায় শেষে মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনা করি মোনাজাত করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে তিনটা পর্যন্ত কোরআন হাদিসের আলোকে ওলামায়ে কেরামগণ ওয়াজ নসিহত করেন। জামায়াতে জোহর নামাজ শেষে এরশাদ কেবলা গুরুত্বপূর্ণ নসিহত বাণী পেশ এবং আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে দুদিনব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবীর এই মাহফিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এ সময় পীর ও মুর্শেদ হযরত সৈয়দ জাকির শাহ্ নকশবন্দি মোজাদ্দেদী কুতুববাগী কেবলাজান বলেন খাঁটি মুসলমান হতে হলে শরীয়তের ছোট বড় যাবতীয় হুকুম মেরে চলুন, কারণ মানব সেবাই পরম ধর্ম।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ