1. admin@dailyswadhinbangladesh.com : admin :
  2. n.ganj.jasim@gmail.com : স্বাধীন বাংলাদেশ রিপোর্ট : স্বাধীন বাংলাদেশ রিপোর্ট
  3. reduanulhoque11@gmail.com : reduanulhoque :
  4. sohag42000@gmail.com : sohag42000 :
সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:১১ অপরাহ্ন

বন্দরে জমি বায়না করেই সরকারি খাল ব্যক্তি স্বার্থে ভরাট করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দালাল বাড়ি এলাকার শত বছরের প্রাচীন সরকারি রেকর্ডিয় খাল দখল করে ড্রেজারের বালু দিয়ে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে ভুমিদস্যু আফজালের বিরুদ্ধে। তবে জমি বায়না করেই সরকারি খাল দখল করে ভরাট করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সরকারি খাল বালু দিয়ে ভরাট করায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সেলসারদি মৌজার ৪০ শতাংশ জায়গা মোক্তার ও ইসমাঈল এর কাছ থেকে বায়না করেন আফজাল। ওই জমির পূর্ব পাশ দিয়ে একটি সরকারি খাল রয়েছে। নিজের সুবিধার্থে পাশের সরকারি খালের মাঝখানে বাঁশ দিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করছে। যার ফলে পানি নিস্কাশনের জন্য খালটি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগেও উত্তর পাশে বাহাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি সরকারি খাল বালু দিয়ে ভরাট করে। এর  কিছুদিন পর ওই খাল থেকে ২/৩ ফিট বালু তোলে পানি নিস্কাশনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়। এবার পাশের জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করার কারণে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র দালাল বাড়ীর খালটি বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলছে, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দালাল বাড়ীর খালটি অনেকে পুরনো। এলাকায় ড্রেন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই বাড়ির পানি খালে নেমে যায়। যার ফলে জলাবদ্ধতা দূর হয়। নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে ড্রেজার ব্যবসায়ী আমানউল্লাহ, আফজাল সহ কয়েকজন ভুমিদুস্য ক্ষমতার অপব্যহার করে খালটি গত এক সপ্তাহ আগে ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে এলাকার কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর ও ফসল পানিতে ডুবে যাবে। কিন্তু বালু ব্যবসায়ীরা সেই বিষয়টি কর্ণপাত করছেন না। অভিযোগ সত্ত্বেও তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
ড্রেজার ব্যবসায়ী দিঘলদী এলাকার আমানউল্লাহ জানান, ওই জায়গা আমার না আমি এই জায়গা ভরাট করিনি। আরেক জনের ড্রেজার দিয়ে ভরাট করা হয়েছে, আপনি চেয়ারম্যান সাহেব এর সাথে কথা বলেন।
এবিষয়ে আফজাল মিয়া জানান, মোক্তার ও ইসমাঈল এর কাছ থেকে ৪০ শতাংশ জায়গায় বায়না করি। এখানে কোন সরকারি খাল নেই, কয়েকদিনের মধ্যে চেয়ারম্যান সাহেব জায়গার মাপঝোপ করবে। আমার জায়গায় যদি খাল থেকে থাকে অবশ্যই খাল পরিস্কার করে দিবো।
এ বিষয়ে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো: দেলোয়ার হোসেন প্রধান জানান, খাল ভরাট এর খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ সহ ভেকু পাঠিয়েছি খালটি উদ্ধার করার জন্য। ভেকুটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঠিক করতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ওই জমির মালিক কয়েকদিন সময় নিয়েছে জায়গাটি মেপে যতটুকু খালের জায়গা রয়েছে ততটুকু ছেড়ে দিবে। পূনরায় পানি নিঙ্কাশনের জন্য খাল উদ্ধার করে ব্যবস্থা করে দিবো।
এবিষয় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম.খুদরত-এ খুদা সরকারি ব্যবহৃত নম্বরে ফোনকল করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।
Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ

প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park