যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আপনারা (সরকার) মাইনকার চিপায় পড়ে গেছেন, আপনাদের আর বাঁচার সুযোগ নেই।
শনিবার (২৭ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
আব্বাস বলেন, ‘আজ লাখ লাখ যুবক রাস্তায় নেমে এসেছে। যুবকদের পদভারে শেখ হাসিনা সরকার বানের জলে ভেসে যাবে। আমার এক পরিচিত সরকারি চাকরিজীবীকে অস্ট্রেলিয়া ভিসা দিচ্ছে না, পরে জানতে পারলাম সেই লোক সরকারের অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, ‘আজ সারা পৃথিবীর মানুষ আপনাদের ভিসা দিচ্ছে না, পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশ আপনাদের মতো চোর-বাটপারদের ভিসা দেবে না। গত ১৪ বছরে আপনাদের সব অপকর্মের বিচার হবে।
নেতাকর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে ধারণক্ষমতা চার হাজার ২০০, কেরানীগঞ্জে ১৬ হাজারের মতো, সারাদেশে দুই লাখ। অপরদিকে শুধু আমারই কর্মী আছেন কয়েক লাখ।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, মহিলা দলের সভানেত্রী মির্জা আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে ওঠে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুপুর আড়াইটায় কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা দেরিতে শুরু হয়।
কর্মসূচির কারণে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত একটি রাস্তা বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া নয়াপল্টন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনসহ সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ৷
© স্বত্ব সংরক্ষিত © দৈনিক স্বাধীন বাংলাদেশ